দমদম : নারায়ণপুরের এক বহুতল আবাসন থেকে উদ্ধার হল দম্পতির দেহ। পুলিশ এবং স্থানীয়দের প্রাথমিক অনুমান, ওই আবাসনের বাসিন্দা সাগর মুখোপাধ্যায় তাঁর স্ত্রী রূপাকে গলা কেটে খুন করার পর মেয়ের গলাতেও কোপ মারেন। তারপর নিজে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হন। মেয়েটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি। তার অবস্থা সঙ্কটজনক।
শনিবার দুপুরে নারায়ণপুরে ওই আবাসন থেকে সাগর এবং রূপার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁদের পাশেই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিল দম্পতির একমাত্র মেয়ে। তার সারা শরীরে বহু আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। গলায় গভীর ক্ষত পাওয়া গিয়েছে।
ঘটনাস্থলে যান স্থানীয় বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায় এবং বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার সহ উচ্চপদস্থ অফিসাররা। বিধায়ক জানান, সাগর তাঁর পরিচিত।
পুলিশ কমিশনার গৌরব শর্মা বলেন, আমরা একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছি। সম্ভবত আর্থিক কিছু সমস্যা ছিল পরিবারটির। দু’জনের দেহ আমরা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছি। মেয়েটি বেঁচে আছে। সে সুস্থ হলে তার বয়ান নেওয়া হবে এবং তার ভিত্তিতে তদন্ত এগোবে। ব্লেড এবং দড়ি ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে আরও বিশদে বিষয়টি জানা যাবে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, পরিবারটিকে দেখে সুখীই মনে হত। বাড়িতে কখনও ঝামেলা হতে দেখা যায়নি। সাগর পেশায় ওষুধ ব্যবসায়ী ছিলেন। কী কারণে সাগর এই কাণ্ড ঘটালেন, কেউ বুঝে উঠতে পারছেন না। পরিজনরাও অন্ধকারে। পুলিশ আত্মীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
আরও অন্য খবর দেখুন